রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ অন্ধকার শেখ হাসিনার

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান এবং জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সভাপতি অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন সাম্প্রতিক এক বক্তব্যে মন্তব্য করেছেন যে গণঅভ্যুত্থানে পালিয়ে গেলে শেখ হাসিনার রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ অন্ধকারে নিমজ্জিত হবে। তিনি আরও বলেন, একটি পালিয়ে যাওয়া রাজনৈতিক নেতার জন্য রাজনীতিতে ফিরে আসার কোনো সুযোগ নেই। এই মুহূর্তে আওয়ামী লীগকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার অনুমতি দেওয়াও উচিত হবে না। কারণ, তারা ব্যাংক, শেয়ারবাজার, মেগা প্রকল্প থেকে লুটপাটের অর্থ এবং পেশীশক্তি ব্যবহার করে নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে কলুষিত করতে পারে।
শনিবার রাজধানীর এফডিসিতে “জুলাই হত্যাকাণ্ডে জড়িত দলের ভবিষ্যৎ রাজনীতি” শীর্ষক এক ছায়া সংসদে প্রধান অতিথির বক্তব্যে অ্যাডভোকেট জয়নুল এই মন্তব্য করেন। অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি, এবং এতে সভাপতিত্ব করেন সংস্থার চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ।
জয়নুল আবেদীন আরও বলেন, আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার বিষয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে একটি বিতর্ক বিদ্যমান। তিনি মনে করেন, নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত বিরাজনীতিকরণের কারণ হতে পারে, যা সমাজে বিভিন্ন প্রশ্ন উত্থাপন করেছে। শুধু আওয়ামী লীগই নয়, তাদের সহযোগী বাকি ১৪ দলকেও নিষিদ্ধ করার প্রয়োজন রয়েছে বলেও তিনি মনে করেন।
অ্যাডভোকেট জয়নুল অভিযোগ করেন, শেখ হাসিনার শাসনামলে দেশে একদলীয় শাসন ব্যবস্থা কায়েম হয়েছিল, যেখানে শুধুমাত্র তাঁর সমর্থকদের মতামত ও সিদ্ধান্তকে যথার্থ বলে মেনে নেওয়া হত। এর ফলে অনেক গুরুত্বপূর্ণ মামলায় প্রকৃত অপরাধীরা থেকে গেছে ধরাছোঁয়ার বাইরে। বিচার ব্যবস্থায় ন্যায় প্রতিষ্ঠিত না হলে, সাধারণ মানুষের আস্থা হারিয়ে যেতে পারে বলেও সতর্ক করেন তিনি।
ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির আয়োজনে অনুষ্ঠিত ছায়া সংসদ বিতর্ক প্রতিযোগিতায় প্রাইমএশিয়া ইউনিভার্সিটির বিতার্কিকরা স্ট্যামফোর্ড ইউনিভার্সিটিকে পরাজিত করে বিজয় অর্জন করেন। প্রতিযোগিতার বিচারক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক ড. তাজুল ইসলাম চৌধুরী তুহিন, সাংবাদিক আবদুল্লাহ তুহিন, আরিফুজ্জামান মামুন, আহমেদ সরওয়ার, ও মো. আবদুল্লাহ আল রাফি। প্রতিযোগিতা শেষে বিজয়ী ও অংশগ্রহণকারী দলের সদস্যদের ট্রফি, ক্রেস্ট ও সনদপত্র প্রদান করা হয়।