রাজনীতি

নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ দলীয় কোন কার্যক্রম করলেই গ্রেফতার

বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মো. ময়নুল ইসলাম বলেছেন, ছাত্রলীগ অতীত কর্মকাণ্ডের কারণে নিষিদ্ধ সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। এ কারণে দেশের কোনো স্থানে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা মিছিল-মিটিং বা সমাবেশ করতে পারবেন না। যদি তারা এই নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মিছিল করে, তবে তাদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

শনিবার (২৬ অক্টোবর) দুপুরে রংপুরে এক সুধী সমাবেশে এই বক্তব্য প্রদান করেন আইজিপি মো. ময়নুল ইসলাম। এই সমাবেশটি রংপুর মহানগর পুলিশের ষষ্ঠ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে রংপুর পুলিশ লাইনস স্কুল অ্যান্ড কলেজ মিলনায়তনে আয়োজিত হয়। এসময় বিভিন্ন স্তরের পুলিশ কর্মকর্তা, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।

আইজিপি জানান, নিষেধাজ্ঞার পরও কয়েকটি স্থানে ছাত্রলীগ খণ্ড খণ্ড মিছিল করেছে এবং এ কারণে তাদের কয়েকজন সদস্যকে গ্রেফতারও করা হয়েছে। তিনি বলেন, ছাত্রলীগের নিষিদ্ধকরণের মূল কারণ তাদের অতীত কর্মকাণ্ড ও দেশের শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষার প্রতি তাদের নেতিবাচক আচরণ। পুলিশ প্রধান আরও বলেন, কোনো সংগঠন বা দলের সদস্যই যদি দেশের আইন অমান্য করে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ পদক্ষেপ নিতে পুলিশ প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।

সুধী সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা সারজিস আলম। তিনি বলেন, “বাংলাদেশে কোন রাজনৈতিক দলের হয়ে একতরফা আচরণ করা উচিত নয়। এক দল ক্ষমতায় এসে অন্য দলকে নিপীড়ন করবে এমন বাংলাদেশ আমরা চাই না। দেশের পুলিশ বাহিনীর উচিত নিরপেক্ষতার সাথে সকলের সেবা করা এবং কোন দলের হয়ে নিজেদের উপস্থাপন না করা।”

এছাড়া, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রয়াত নেতা ও বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শহীদ আবু সাঈদের স্মৃতির প্রতি সম্মান জানাতে আইজিপি মো. ময়নুল ইসলাম তার কবর জিয়ারত করেন। পীরগঞ্জ উপজেলার মদনখালী ইউনিয়নের জাফরপাড়ার বাবনপুর গ্রামে আবু সাঈদের কবরের পাশে দাঁড়িয়ে আইজিপি ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন এবং পরবর্তীতে আবু সাঈদের পরিবারের সদস্যদের সাথে সাক্ষাৎ করেন। আবু সাঈদের পরিবারকে সান্ত্বনা জানিয়ে আইজিপি বলেন, দেশের প্রতি তাদের ত্যাগকে জাতি চিরকাল শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করবে।

সমাবেশে আইজিপি আরও বলেন, পুলিশের দায়িত্ব হচ্ছে দেশের জনগণের সুরক্ষা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। কোনও রাজনৈতিক দল বা ব্যক্তির প্রভাবমুক্ত থেকে কাজ করা পুলিশ বাহিনীর নৈতিক দায়িত্ব। এজন্য পুলিশের ভূমিকা হতে হবে নিরপেক্ষ ও নির্ভীক।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button