ক্ষমতার মঞ্চে পরিবর্তনের অপেক্ষা: যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন আজ

মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন আজ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। মঙ্গলবার, ৫ অক্টোবর, বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিধর দেশ যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী রাষ্ট্রপ্রধান কে হবেন, তা নির্ধারণ করবেন মার্কিন জনগণ। এই নির্বাচনের ওপর পুরো পৃথিবীর নজর থাকাটা স্বাভাবিক, কারণ যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ এবং পররাষ্ট্রনীতি বিশ্ব রাজনীতি ও অর্থনীতিতে বিশাল প্রভাব ফেলে।
এইবারের নির্বাচনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৬০তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা ডেমোক্রেটিক পার্টির কমলা হ্যারিস এবং রিপাবলিকান পার্টির ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যে। যদিও নির্বাচনে আরও চারজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন, বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন তাদের উপস্থিতি ভোটের চূড়ান্ত ফলাফলে তেমন প্রভাব ফেলবে না।
বিশ্লেষকদের মতে, এই নির্বাচনে সাতটি অঙ্গরাজ্য বিশেষ ভূমিকা পালন করবে, কারণ এগুলোতে ভোটের ফলাফল পূর্বাভাস দেওয়া কঠিন। ডেমোক্রেট এবং রিপাবলিকান প্রার্থীদের সমর্থন এখানে প্রায় সমান থাকায় এই রাজ্যগুলোকে দোদুল্যমান হিসেবে গণ্য করা হয়। তাই, নির্বাচনী প্রচারণায় দুই প্রার্থীই বিশেষভাবে এই অঙ্গরাজ্যগুলোর দিকে মনোযোগ দিচ্ছেন।
আরও জানুন, ট্রাম্প: ক্ষমতায় ফেরার সম্ভাবনায় শঙ্কিত আমেরিকা!
রোববার, ৩ নভেম্বর, মিশিগানে একটি প্রচারণার সময় গাজায় যুদ্ধ বন্ধের প্রতিশ্রুতি দেন কমলা হ্যারিস। বিশেষ করে আরব-আমেরিকান ভোটারদের সমর্থন পেতে তিনি এই প্রতিশ্রুতি দেন।
অন্যদিকে, একই দিনে পেনসিলভানিয়া এবং নর্থ ক্যারোলিনায় প্রচারণায় অংশ নেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি জো বাইডেনের শাসনামলে যুক্তরাষ্ট্রকে “ব্যর্থ রাষ্ট্র” হিসেবে আখ্যায়িত করেন এবং ডেমোক্র্যাটদের এই ব্যর্থতার জন্য লজ্জিত হওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেন। তিনি প্রতিশ্রুতি দেন, রিপাবলিকান পার্টি জিতলে পরবর্তী চার বছরকে “স্বর্ণযুগ” হিসেবে রূপান্তর করবেন।
সর্বশেষ ফলাফল নির্ধারণে ভোটারদের অংশগ্রহণ এবং এই সাতটি গুরুত্বপূর্ণ রাজ্যের ফলাফলের দিকে পুরো বিশ্বের মানুষ তাকিয়ে থাকবে।