- Knowledge is power
- The Future Of Possible
- Hibs and Ross County fans on final
- Tip of the day: That man again
- Hibs and Ross County fans on final
- Spieth in danger of missing cut
রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন আবাসিক এলাকায় কোনো নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করেই গড়ে উঠেছে বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান। বাড়ির মালিকদের লোভের কারণে এই ধরনের বাণিজ্যিক কার্যক্রম বাড়ছে দিন দিন, যা প্রায়শই অগ্নিকাণ্ডসহ নানা দুর্ঘটনার কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। এর পরও বাড়ির মালিক কিংবা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের মধ্যে এই সমস্যা সমাধানে তৎপরতা দেখা যায় না।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, বনশ্রী, খিলগাঁও তালতলা, আফতাবনগর, বাড্ডা, বেইলি রোডসহ বিভিন্ন আবাসিক এলাকায় আবাসিক ভবনগুলোতে বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান ভাড়া দিয়ে নিয়মবহির্ভূতভাবে অধিক লাভের আশায় গোপনে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা হচ্ছে। অনেক ভাড়াটিয়া এর বিরুদ্ধে অভিযোগ জানালেও কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয় না। বরং প্রতিবাদকারীদের বিভিন্ন সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়।
বাড়ির মালিকদের দাবি, রাজউক থেকে অনুমতি নিয়েই তাঁরা ভাড়া দিয়েছেন। তবে রাজউকের কাগজপত্র দেখানোর অনুরোধ জানালে বেশিরভাগ মালিক তা দেখাতে নারাজ। এক নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বনশ্রীর বাড়ির মালিক স্বীকার করেছেন যে, এগুলোর কোনো বৈধ অনুমোদন নেই এবং বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারা অর্থের বিনিময়ে এসব বিষয় এড়িয়ে যান।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, বাড়ির মালিকদের অসাধু কার্যকলাপের ফলে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনা ঘটে চলেছে। এই সমস্যাগুলো সমাধান না করলে একসময় বড় সিন্ডিকেট গড়ে উঠবে, যা ভবিষ্যতে নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হয়ে পড়বে। এছাড়াও, এসব কার্যকলাপের কারণে সরকার বিপুল পরিমাণ রাজস্ব হারাচ্ছে, কারণ ইউটিলিটি বিল ফাঁকি দিয়ে সরকারের কোটি কোটি টাকা ক্ষতি হচ্ছে।
এ বিষয়ে ঢাকা ওয়াসা, ডিপিডিসি, রাজউক এবং তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষের প্রতিনিধিরা জানান, আবাসিক ভবনে বাণিজ্যিক কার্যক্রমের বিষয়ে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ইতোমধ্যেই বেশ কিছু অভিযান পরিচালিত হয়েছে এবং অবৈধ লাইন বন্ধ করার কাজ চলছে।
রাজউক চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মো. ছিদ্দিকুর রহমান (অব.) জানান, অনুমোদন ছাড়াই বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান চালানোর বিষয়টি আইনত অপরাধ এবং এ ব্যাপারে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে। তিতাস গ্যাসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহনেওয়াজ পারভেজ বলেন, অবৈধ গ্যাস লাইন বন্ধে অভিযান চলছে এবং যে কোনো অভিযোগ পেলেই তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সরকারের এই পদক্ষেপগুলো কার্যকরভাবে পরিচালিত হলে আবাসিক এলাকায় বাণিজ্যিক কার্যক্রম বন্ধ হবে এবং দুর্ঘটনার ঝুঁকি কমবে।
