ছাত্রলীগের যেকোন বিবৃতি যেকোন মাধ্যমে প্রচার নিষিদ্ধ

বাংলাদেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির জোরালো দাবির প্রেক্ষিতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বাংলাদেশ ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম এই ছাত্র সংগঠনকে নিষিদ্ধ করার বিষয়টি বুধবার রাতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে জানানো হয়।
সন্ত্রাসবিরোধী আইন ২০০৯-এর অধীনে এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সন্ত্রাসবিরোধী আইন ২০০৯-এর ধারা ১৮(১)-এর ক্ষমতাবলে এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করেছে। ফলে এখন থেকে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কোনো ধরনের বিবৃতি প্রকাশও নিষিদ্ধ থাকবে। এই আইনের আওতায় সরকার যে কোনো ব্যক্তি বা নিষিদ্ধ সংগঠনের প্রেস বিবৃতি, মুদ্রণ বা প্রচারণা বন্ধ করতে পারবে।
আইনের ২০(১) ধারা অনুযায়ী, তালিকাভুক্ত ব্যক্তি বা নিষিদ্ধ সংগঠনের বিরুদ্ধে সরকার যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। ধারা ২০-এর ১-এর ঙ উপধারায় বলা হয়েছে, নিষিদ্ধ সত্তার কোনো প্রেস বিবৃতি, প্রকাশনা বা প্রচারণা সরকার বন্ধ করবে। একইসঙ্গে, যদি কোনো ব্যক্তি বা সংগঠনকে এই আইনের ১৮ ধারার অধীনে তালিকাভুক্ত করা হয়, তাহলে সরকার সেই ব্যক্তির বা সংগঠনের বিরুদ্ধে এই আইনের অধীনে অন্যান্য পদক্ষেপের পাশাপাশি আরও কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবে।
এই নিষেধাজ্ঞা বাংলাদেশে ছাত্র রাজনীতিতে একটি বড় ধাক্কা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে, বিশেষ করে ছাত্রলীগের দীর্ঘদিনের কার্যক্রম ও রাজনৈতিক প্রভাবের আলোকে।