বাংলাদেশ

মিরপুর বিক্ষোভে উত্তাল : সেনাবাহিনী ও পুলিশের গাড়িতে অগ্নিসংযোগ

মিরপুরের কচুক্ষেত এলাকায় বেতন ও অন্যান্য দাবিতে আন্দোলনরত গার্মেন্টস শ্রমিকদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ এবং সেনাবাহিনীর টহল গাড়িতে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) সকাল থেকে গার্মেন্টস শ্রমিকরা তাদের দাবি আদায়ে রাস্তা অবরোধ করে আন্দোলনে নামেন। এসময় শ্রমিকরা পুলিশের গাড়ি ও সেনাবাহিনীর টহল গাড়িতে ইট-পাটকেল ছুঁড়ে আঘাত করেন এবং পরে সেই গাড়িগুলিতে আগুন ধরিয়ে দেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, মিরপুর ১৪ নম্বর কচুক্ষেত এলাকায় একটি গার্মেন্টসের শ্রমিকরা রাস্তায় অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন এবং বিভিন্ন দাবি আদায়ে রাস্তা অবরোধের চেষ্টা করেন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করলে শ্রমিকরা উত্তেজিত হয়ে তাদের ওপর ইট-পাটকেল ছুঁড়তে থাকেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ লাঠিচার্জ করে এবং দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এক পর্যায়ে শ্রমিকরা সেনাবাহিনী ও পুলিশের দুটি টহল গাড়ি ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দেয়।

আরও পড়ুন, আশুলিয়ায় ৪৬ লাশ পোড়ানোর নৃশংসতায় অভিযুক্ত পুলিশ কর্মকর্তা শহিদুল ট্রাইব্যুনালে হাজির

পরিস্থিতি জটিল আকার ধারণ করলে সেনাবাহিনী কঠোর অবস্থান নেয় এবং এলাকায় যান চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়। এসময় গুলির শব্দও শোনা যায় বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন। পুরো এলাকাজুড়ে থমথমে পরিবেশ বিরাজ করছে এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী পুরো এলাকা ঘিরে রেখেছে।

ভাষানটেক থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ মোহাম্মদ ফয়সাল জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ সকাল থেকেই মাঠে ছিল। গার্মেন্টস শ্রমিকরা হঠাৎ করেই উত্তেজিত হয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর গাড়িতে আক্রমণ চালায় এবং শেষপর্যন্ত গাড়িগুলোতে আগুন ধরিয়ে দেয়। এখন পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে রয়েছে এবং সেনাবাহিনী ও পুলিশ ঘটনাস্থলে টহল দিচ্ছে।

ডিএমপি মিরপুর বিভাগের ডিসি মাকসুদুর রহমান বলেন, কচুক্ষেত এলাকায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশকে শক্তি প্রয়োগ করতে বাধ্য হতে হয়েছে। তিনি আরও জানান, শ্রমিকদের আক্রমণে বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন এবং জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কয়েকজন শ্রমিককে আটক করা হয়েছে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button