ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ভয়াবহ যুদ্ধের প্রস্তুতি ইরানের

- Knowledge is power
- The Future Of Possible
- Hibs and Ross County fans on final
- Tip of the day: That man again
- Hibs and Ross County fans on final
- Spieth in danger of missing cut
ইরান ইসরায়েলের বিরুদ্ধে যেকোনো যুদ্ধের জন্য পুরোপুরি প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে, তবে একই সঙ্গে তারা এই যুদ্ধ এড়িয়ে যাওয়ার জন্যও নানা কৌশল নিয়ে কাজ করছে। মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমসের বরাত দিয়ে টাইমস অব ইসরায়েল জানায়, ইরানের শীর্ষ নেতৃত্ব তাদের সশস্ত্র বাহিনীকে যেকোনো সম্ভাব্য ইসরায়েলি হামলার পাল্টা জবাব দেওয়ার জন্য যাবতীয় প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। তবে যুদ্ধ এড়ানোর প্রচেষ্টা এখনো চালিয়ে যাচ্ছে দেশটি, যা ইরানের কৌশলের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি দেশটির সামরিক বাহিনীকে ইসরায়েলের সম্ভাব্য হামলা মোকাবিলায় একাধিক পরিকল্পনা বাস্তবায়নের নির্দেশ দিয়েছেন। ইরানের চারজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার বরাত দিয়ে বলা হয়, খামেনি ইসরায়েলের বিরুদ্ধে একটি কঠোর প্রতিক্রিয়া জানাতে প্রস্তুত, তবে পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে প্রতিক্রিয়া পরিবর্তিত হতে পারে। ইরানে যদি ভয়াবহ হামলা হয়, তবে ইরান পাল্টা প্রতিশোধ নিতে কোনো দ্বিধা করবে না। তবে যদি ইসরায়েলের হামলা শুধুমাত্র সামরিক স্থাপনা বা অস্ত্রাগারে সীমাবদ্ধ থাকে, তাহলে হয়তো সর্বোচ্চ নেতা পাল্টা হামলার নির্দেশ নাও দিতে পারেন। এটি ইরানের প্রতিরক্ষা নীতির কৌশলগত অবস্থানের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।
ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কর্পসের (আইআরজিসি) দুইজন শীর্ষ কমান্ডার জানান, যদি ইসরায়েল ইরানের তেল স্থাপনা, পারমাণবিক কেন্দ্র বা সিনিয়র নেতাদের লক্ষ্যবস্তু বানিয়ে হামলা চালায়, তাহলে ইরান ১ হাজারেরও বেশি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুঁড়ে তার জবাব দেবে। তারা উল্লেখ করেন, এমন হামলা হলে পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নেবে এবং তা নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হবে। ইরান যে কেবল প্রতিরক্ষায় থাকবে না, তা পরিষ্কারভাবে জানিয়ে দিয়েছে তারা।
এদিকে, ইসরায়েল-ইরান উত্তেজনা আরও বেড়েছে গত ১ অক্টোবর, যখন ইরান ইসরায়েলের একটি ক্ষেপণাস্ত্র হামলার জবাব দিয়েছে। ইসরায়েলি সামরিক স্থাপনাগুলোর ওপর ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা তাদের প্রতিরোধ ক্ষমতার একটি নিদর্শন। বর্তমানে ইরান মনে করছে, তেল আবিব ইরানের বিরুদ্ধে আরও কঠোর পদক্ষেপ নিতে পারে। এজন্যই ইরান সর্বাত্মক প্রস্তুতি নিচ্ছে, যাতে যেকোনো আক্রমণ আসলে তাৎক্ষণিকভাবে প্রতিক্রিয়া জানানো সম্ভব হয়।
এছাড়াও, ইরান সতর্ক করে দিয়েছে, তাদের ওপর আরও কোনো বড় আকারের হামলা হলে তা শুধু মধ্যপ্রাচ্যেই নয়, বরং বিশ্ব রাজনীতিতে প্রভাব ফেলতে পারে। কারণ ইরানের প্রতিরক্ষা শক্তি কেবল তাদের ভৌগোলিক সীমার মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, বরং আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলেও এর একটি প্রভাব রয়েছে। ইরানের এই কঠোর মনোভাবের পেছনে তাদের সামরিক শক্তির বহর এবং কৌশলগত পরিকল্পনা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
এদিকে, ইসরায়েলের পক্ষ থেকেও হামলার পরিকল্পনা চলছে। তবে তারা ইরানের পাল্টা হামলা সম্পর্কে সচেতন এবং এজন্যই দু’পক্ষই এমন এক পরিস্থিতির মধ্যে আছে যেখানে উভয়েই যুদ্ধের দিকে ধাবিত হতে পারে, আবার কূটনৈতিক প্রচেষ্টার মাধ্যমে যুদ্ধ এড়ানোরও সম্ভাবনা রয়েছে। তেল আবিব এবং তেহরানের মধ্যকার এই উত্তেজনা শুধু দুই দেশের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, বরং পুরো মধ্যপ্রাচ্যের ভূ-রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলেছে।
উভয় দেশই নিজেদের সামরিক শক্তি প্রদর্শনের মাধ্যমে নিজেদের অবস্থান নিশ্চিত করতে চাইছে, তবে বিশ্বশক্তিগুলোর নজর রয়েছে এই সংঘর্ষের দিকে।