প্রযুক্তি

ফ্রিল্যান্সিংয়ে সফল হওয়ার মূলমন্ত্র জানালেন মো. মনির হোসেন

রাজধানীর ক্রিয়েটিভ আইটি ইনস্টিটিউট দীর্ঘ দেড় দশক ধরে তথ্যপ্রযুক্তির বিভিন্ন বিষয়ে প্রশিক্ষণ দিয়ে আসছে। সময়ের সঙ্গে প্রশিক্ষণের ধরণেও এসেছে পরিবর্তন। ফ্রিল্যান্সিংয়ের বর্তমান চাহিদা এবং একজন সফল ফ্রিল্যান্সার হওয়ার কৌশল নিয়ে কথা বলেছেন ক্রিয়েটিভ আইটি ইনস্টিটিউটের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মনির হোসেন। তাঁর অভিজ্ঞতা ও পর্যবেক্ষণ থেকে জানা যায়, ফ্রিল্যান্সিংয়ে সফল হতে গেলে দক্ষতার বিকল্প নেই।

বর্তমানে ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, ডিজিটাল বিপণন, গ্রাফিক ডিজাইন, ইউআই/ইউএক্স ডিজাইন, ডেটা সায়েন্স এবং সাইবার নিরাপত্তা অন্যতম চাহিদাসম্পন্ন বিষয়। কারণ, এই খাতগুলোতে কাজের সুযোগ ক্রমশ বাড়ছে এবং ফ্রিল্যান্সিংয়ের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক বাজারেও এসব দক্ষতার প্রচুর চাহিদা রয়েছে।

২০০৮ সালে ক্রিয়েটিভ আইটি ইনস্টিটিউটের যাত্রা শুরু হয়। প্রতিষ্ঠানটি প্রতিষ্ঠার পেছনে মো. মনির হোসেনের মূল লক্ষ্য ছিল দেশের তরুণদের প্রযুক্তিগত দক্ষতা বাড়িয়ে তাদের জন্য আন্তর্জাতিক মানের কাজের সুযোগ তৈরি করা। আজ প্রায় এক লাখেরও বেশি প্রশিক্ষণার্থী তাঁদের এই প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে স্থানীয় ও বৈশ্বিক বাজারে কাজের সুযোগ পেয়েছেন, যা নিঃসন্দেহে গর্বের বিষয়।

প্রশিক্ষণার্থীদের বয়স সাধারণত ১৮ থেকে ৩৫ বছরের মধ্যে হলেও, যেকোনো বয়সের মানুষ এখানে প্রশিক্ষণ নিতে পারেন। কারণ, বর্তমান যুগে তথ্যপ্রযুক্তির দক্ষতা প্রতিটি বয়সেই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এখন পর্যন্ত ৮০ হাজারের বেশি প্রশিক্ষণার্থী এই প্রতিষ্ঠান থেকে প্রশিক্ষণ নিয়েছেন, এবং বর্তমানে প্রায় সাত হাজার প্রশিক্ষণার্থী বিভিন্ন কোর্সে প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন।

যেকোনো বিষয়ে দক্ষতা অর্জন করলে দ্রুত পেশাজীবন শুরু করা সম্ভব। বিশেষ করে ডিজিটাল বিপণন, গ্রাফিক ডিজাইন, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, ভিডিও সম্পাদনা এবং ফ্রিল্যান্সিং বিষয়গুলোতে প্রশিক্ষণ নিয়ে খুব সহজেই পেশাজীবনে প্রবেশ করা যায়। প্রতিটি কোর্সে বাস্তবমুখী প্রশিক্ষণ এবং ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে কাজ পাওয়ার কৌশলও শেখানো হয়।

ফ্রিল্যান্স আউটসোর্সিংয়ে বর্তমানে ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, মোবাইল অ্যাপ তৈরি, গ্রাফিক ডিজাইন, কনটেন্ট রাইটিং, ভিডিও সম্পাদনা, ৩ডি অ্যানিমেশন এবং এসইওর প্রচুর চাহিদা রয়েছে। দক্ষ ফ্রিল্যান্সারদের জন্য এইসব ক্ষেত্রে কাজের সুযোগ আরও বাড়ছে।

ফ্রিল্যান্সিংয়ে সফল হতে হলে দক্ষতা, অধ্যবসায় এবং সময়মতো কাজ সম্পন্ন করা অপরিহার্য। এছাড়া আন্তর্জাতিক মানের দক্ষতা অর্জন এবং নিয়মিত যোগাযোগ বজায় রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশের ফ্রিল্যান্সাররা বিশ্ববাজারে ১৪ শতাংশ কাজ করছে, যা সন্তোষজনক হলেও আরও বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে। নতুন বিষয়ে দক্ষতা অর্জন এবং ইংরেজিতে যোগাযোগের দক্ষতা বাড়ানোর মাধ্যমে এই হার বাড়ানো সম্ভব।

ক্রিয়েটিভ আইটি ইনস্টিটিউটের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা হলো দেশব্যাপী এবং আন্তর্জাতিকভাবে দক্ষতার মান বাড়ানো এবং নতুন নতুন প্রযুক্তি বিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রদান।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button